Skip to main content

Posts

আকাশের স্বপ্নে বাধা

 — লেখক: প্রিন্স নাইম   পাঠ পরিচিতি: প্রিন্স নাইম  সার্বিক সহযোগিতায় : রাকিব হাসান, নয়ন মিয়া 🎥 আকাশের স্বপ্নে বাধা লেখক: পেন্সি নাইম পাঠ পরিচিতি: প্রিন্স নাইম সালটা ছিল ২০২১। সবেমাত্র একটা স্মার্টফোন কিনেছে আকাশ। অনেক দিন ধরেই তার ইচ্ছে ছিল ইউটিউবার হবে। ফোন হাতে পাওয়ার পর যেন সেই স্বপ্নটা একটু একটু করে বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করলো। রাত-দিন ইউটিউবে সময় দিতে লাগল সে। ভিডিও বানানোর চিন্তা, এডিটিং, থাম্বনেইল ডিজাইন — এসব নিয়েই ডুবে থাকত। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় নিজের মানুষদের কাছ থেকেই। বন্ধুরা বলতে লাগল— “এইসব করে কিছু হবে না রে ভাই, সময় নষ্ট করিস না।” “তোর মতো ছেলেকে এসব মানায় না।” আর পরিবার? তারা আরও কড়া ভাষায় বলত— “ভোদায় সময় নষ্ট করছিস! ওই সময়টা পড়াশোনায় বা চাকরির চিন্তায় লাগালে ভালো করতি।” “ইউটিউব করে কয়জন মানুষ কিছু করতে পারছে?” আকাশ চুপচাপ শুনত। তার চোখের ভিতরে আগুন ছিল, কিন্তু মুখে কোনো প্রতিবাদ করত না। সে জানত, কেউ এখন বোঝে না—একদিন যখন সফল হবে, তখন সবাই বলবে, “আকাশকে তো আমরা ছোটবেলা থেকেই চিনতাম!” তবুও একসময় আকাশ হাল ছেড়ে দিলো না। সে ঠিক করল, দিনে কাজ করবে, রাতে...
Recent posts

মতিউরের মোবাইল বিপ্লব"

  📱 "মতিউরের মোবাইল বিপ্লব" লেখক. প্রিন্স নাইম সার্বিক সহযোগিতা. রাকিব হোসাইন. তামিম মোল্লা সালটা ছিল ২০২৩। মতিউর রহমান তখন মাত্র একটি সাধারণ বাটন ফোন ব্যবহার করত। ফেসবুক বা ইউটিউব দেখা তো দূরের কথা, ঠিকমতো একটা ছবি তোলাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু তার মনে ছিল একটা স্বপ্ন—সে চায় কিছু একটা আলাদা করতে, নতুন কিছু শিখতে, সবার থেকে একটু আলাদা কিছু বানাতে। ২০২৪ সালে সে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। অনেক কষ্ট করে, রাত জেগে পড়াশোনা করে — শেষ পর্যন্ত ভালো রেজাল্ট করে। পরিবারে সবার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। খুশিতে তার বাবা তাকে উপহার দেন একটি নতুন স্মার্টফোন। সে-ই ছিল মতিউরের জীবনের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত। নতুন মোবাইলটা হাতে পাওয়ার পর মতিউরের মন ভরে যায়। সে ইউটিউব দেখে ভিডিও এডিটিং শেখে, ফেসবুকে রিল বানাতে শুরু করে। নিজের গ্রামের ছোট ছোট ঘটনা, তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট, টিউটোরিয়াল—এসব নিয়েই ভিডিও বানানো শুরু করে। 📸 কিন্তু বাধা আসে এখানেই। তার বন্ধুরা হাসাহাসি শুরু করে। কেউ বলে, — "এইসব ভিডিও বানিয়ে লাভ কী হবে রে!" আরেকজন বলে, — "তুই কী influencer হইতে চাস নাকি?" তাদের চোখে ম...

মেলাই গিয়ে সিম নেওয়া ঠিক নয়

। গল্পের নাম: মেলায় মোজাহিদের প্রতারণা ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোজাহিদুল হোসেন একটি প্রাইভেট অফিসে চাকরি করে। খুব সাধাসিধে জীবন তার। প্রতিদিন অফিস, বাড়ি আর মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা—এই নিয়েই কাটে সময়। ছেলেটা ভীষণ প্রযুক্তিপ্রেমী, ইন্টারনেট আর মোবাইল গ্যাজেট নিয়ে তার প্রবল আগ্রহ। একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে সে শুনলো, আগারগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের স্টল বসেছে। ছুটির দিনেই চলে গেল সে মেলায়। বিশাল ভিড়, নানা পণ্যের বাহার, আর গাইড মাইকে ভেসে আসা— "২০ টাকায় সিম নিন, সাথে পাচ্ছেন ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট!" এটা শুনেই মোজাহিদের কৌতূহল বেড়ে গেল। এগিয়ে গেল সেই স্টলের দিকে। এক তরুণ, ঝাঁ চকচকে পোশাক পরা, হাসিমুখে বলল, — "ভাই, শুধু ভোটার আইডি দিলেই হবে। কোনো ঝামেলা নেই। সাথে সাথে সিম, সাথে ৫০ জিবি ইন্টারনেট একটিভ!" মোজাহিদ একটু ভাবলো, কিন্তু অফারটা এমন লোভনীয় ছিল যে আর না বলতে পারলো না। আইডি কার্ড দিল, ছবি তুলল, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিল—সবই করল। তারপর নতুন সিম হাতে নিয়ে খুশি মনে মেলা ঘুরে বাসায় ফিরে গেল। ঘটনার মোড় ঘোরে এক সপ্তাহ পর হঠাৎ...

MasterCard

  🎙️ [Intro – ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও ইসলামি ব্যাংকের লোগো সহ শুরু] Narrator (উত্তেজনাপূর্ণ কণ্ঠে): "আপনি কি জানেন—এখন ইসলামী ব্যাংক নিয়ে এসেছে এক নতুন যুগের কার্ড সুবিধা! 💳 হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি ইসলামী ব্যাংকের ODL Currency MasterCard নিয়ে! যা দিয়ে আপনি এখন ফেসবুক, ইউটিউবসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন… একদম সহজে, নিরাপদে, শরিয়া মোতাবেক।" 🎯 [Section 1 – কার্ড পরিচিতি] Narrator: "ইসলামী ব্যাংকের এই ODL (Online Dollar Loadable) Currency MasterCard — একটি প্রিপেইড কার্ড, যা আপনি নিজেই অনলাইনে ডলার লোড করতে পারবেন, ঠিক আপনার প্রয়োজনমতো। চাইলে ফেসবুক অ্যাডে খরচ করুন, ইউটিউব প্রিমিয়াম নিন, ডোমেইন কিনুন, কিংবা ফ্রিল্যান্সিং টুলে সাবস্ক্রিপশন দিন – সবকিছু এখন আপনার হাতের মুঠোয়!" 💼 [Section 2 – কারা ব্যবহার করতে পারবেন?] Narrator: "এই কার্ডটি বিশেষভাবে উপযোগী: ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য স্টুডেন্টদের জন্য, যারা বিদেশি কোর্সে এনরোল করতে চান এমনকি ছোট ব্যবসার মালিকদের জন্য, যারা আন্তর্জাতিক সেবা ...

আতিক আর রাবিবের ডায়মন্ড টপ আপ

  আতিক আর রাবিবের ডায়মন্ড টপ আপ অভিযান আতিক আর রাবিব, দুইজনinseparable বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই একসাথে বেড়ে উঠেছে, একসাথে গেম খেলতে ভালোবাসে। তাদের প্রিয় গেম ছিল Free Fire। প্রতিদিন স্কুলের পরে ঘুরে গেম পাড়ায় বসে তারা এই গেম খেলত। তাদের জন্য গেমটি শুধু খেলা নয়, এটা ছিল তাদের মজা, তাদের আনন্দের উৎস। কিন্তু একটা সমস্যা ছিল—ডায়মন্ড। Free Fire-এ ডায়মন্ড ছিল এক ধরনের মূল্যবান কারেন্সি। ডায়মন্ড না থাকলে মজার গানের গান, দামী বন্দুকের স্কিন, নতুন পোশাক ইত্যাদি আনলক করা যেত না। আর ডায়মন্ড কিনতে টাকা দিতে হত। একদিন আতিক রাবিবকে বলল, “দোস্ত, আমি ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখলাম। তারা বলছিলো ‘নীলা টপ আপ’ নামে একটা অ্যাপ আছে, যেখান থেকে ডায়মন্ড টপ আপ করলে দাম অনেক কম পড়ে।" রাবিব একটু অবাক হয়ে বলল, “সত্যি? তো আমরা কি এবার সেই অ্যাপ দিয়ে টপ আপ করব?” আতিক মাথা নাড়ল, “হ্যাঁ, চল দেখি! দাম কম হলে ভালোই হবে, তাতে আমাদের খরচও কম হবে।” তারা দুজনে একসাথে ফোনে নীলা টপ আপ অ্যাপটি ডাউনলোড করল। অ্যাপটা দেখে তাদের চোখ চকচক করতে লাগল—এখানে নানা অফার, ডিসকাউন্ট, আর আরও অনেক ফিচার ছিল। “দেখ, ৮০ টাকা দিয়ে ১...

Tiktok

  🎬 টাইটেল: "অটো লাইক আর আসল ভালোবাসা 💔 | TikTok Short Film | Heart Touching Bangla Story 2025" 🎭 চরিত্র: রাফি – কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ভিডিওতে দারুণ প্যাশনেট সাজিদ – বন্ধু, শর্টকাট খোঁজে দাদি – একজন সাধারণ ব্যবহারকারী, কিন্তু মন থেকে মন্তব্য করে 🎞️ দৃশ্য ১: (রাফির ঘর, সকাল) 📱 রাফি ভিডিও বানাচ্ছে, ঘাম ঝরছে, কষ্ট করছে। 🎵 ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা মিউজিক বাজছে। 🗣️ রাফি (উৎসাহী): "এইবার ভাইরাল হবই ইনশাআল্লাহ! ১০০টা টেক দিছি, পারফেক্ট শট!" (ভিডিও পোস্ট করে... ঘড়ির দিকে তাকায়, অপেক্ষা করে...) 🗣️ রাফি (মনে মনে): "দুই ঘন্টা হয়ে গেল, মাত্র ৩৪টা লাইক? 😞" 🎞️ দৃশ্য ২: (বন্ধু সাজিদের সাথে দেখা) 🗣️ সাজিদ (হাসতে হাসতে): "দোস্ত! এমন ভিডিওতে কেউ লাইক দিবে না। শোন, এই অ্যাপটা ইউজ কর, অটো লাইক চলে আসবে।" 📲 সাজিদ এক অটো লাইক অ্যাপ দেখায়। 🎶 ড্রাম বিট বাজে… রাফি অ্যাপ ডাউনলোড করে। 🎞️ দৃশ্য ৩: (পরদিন) 📱 রাফি চোখ মেলেই দেখে— "ভিডিওতে ৫.২K লাইক!" 🗣️ রাফি (হাসতে হাসতে): "আজকে তো ভাইরাল! সবাই আমায় চিনবে!" 😎 কিন্তু… 📉 কোনো কমেন্ট নেই , ক...

টেলিটক সিমে এক জিবি এমবি ফ্রি

  টেলিটকের ১ জিবি উপহার” মেহজাবিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে মোবাইলে নেট নেই। ওয়াইফাই নেই, এমবিও শেষ। — “ও মা! ফেসবুক খুলতেও পারছি না! আজকে কী একটা দিন!” ঠিক তখনই একটা এসএমএস আসে— 📩 “বিশেষ উপহার: টেলিটক দিচ্ছে ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট! ডায়াল করুন 111 1#” সে অবাক হয়ে বলে, — “ফ্রি ১ জিবি? মজা করতেছে নাকি!” তবু মনে মনে ভাবল, — “চেষ্টা করে দেখি...” ডায়াল করল 111 1# মুহূর্তেই রিপ্লাই এল— 📥 “অভিনন্দন! আপনার ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট চালু হয়েছে, মেয়াদ ৭ দিন।” সে তো খুশিতে লাফ দিল! ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব—সব আবার খুলে গেল! সাথে সাথে বন্ধুকে ফোন দিল— — “তুই টেলিটক ইউজ করিস না? দৌড়! ১ জিবি ফ্রি দিচ্ছে!” গ্রামের সবাই একে একে জানতে লাগলো এই খবর। চাচা-চাচি, মামা-ফুপু, কলেজের বন্ধুরাও বলল— — “ওরে! টেলিটক তো জম্পেশ অফার দিছে!” 📢 টেলিটকের অফিসিয়াল ঘোষণা: আগস্ট মাসের উপলক্ষে  উপলক্ষে টেলিটকের সকল গ্রাহকদের জন্য ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট উপহার। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা পাশে আছি!”